ঢাকা , রবিবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২৫ , ২২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

​চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

টোলের মাধ্যমে যান চলাচল শুরু বৃহস্পতিবার

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ১৭-১২-২০২৪ ০৪:৩৫:০০ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ১৭-১২-২০২৪ ০৪:৩৫:০০ অপরাহ্ন
টোলের মাধ্যমে যান চলাচল শুরু বৃহস্পতিবার প্রতীকী ছবি
চট্টগ্রামের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে বাণিজ্যিকভাবে গাড়ি চলবে বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) থেকে। ওইদিন এক্সপ্রেসওয়ের পতেঙ্গা প্রান্ত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে টোল আদায়ের কার্যক্রম শুরু করবে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিডিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক মো. মাহফুজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার থেকে বাণিজ্যিকভাবে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হবে। ওইদিন সকাল ১০টা থেকে টোল আদায় কার্যক্রম শুরু হবে। শুরুতে শুধু এক্সপ্রেসওয়ের পতেঙ্গা প্রান্তে চারটি বুথের মাধ্যমে টোল আদায় করা হবে। প্রথমে সিডিএ টোল আদায় করবে। পরবর্তী সময়ে ঠিকাদারের মাধ্যমে এ টোল আদায় করা হবে।’
গত ২৮ আগস্ট থেকে এক্সপ্রেসওয়ে পরীক্ষামূলক যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে যানবাহন থেকে কোনও টোল আদায় করা হচ্ছে না।
সিডিএ সূত্র জানিয়েছে, পূর্বের টোলের হার পরিবর্তন করে নতুন করে প্রস্তাব দিয়ে তা অনুমোদনের জন্য গত ৩ নভেম্বর গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছিল প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা সিডিএ। নতুন টোলের প্রস্তাবটি ২৭ নভেম্বর অনুমোদন দেয় গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে চলবে ১০ ধরনের যানবাহন। তবে চলবে না মোটরসাইকেল ও টেইলার গাড়ি।
চূড়ান্ত হওয়া টোল অনুযায়ী, প্রাইভেটকার ৮০, জিপ ১০০, মাইক্রোবাস ১০০, পিকআপ ১৫০, মিনিবাস ২০০, বাস ২৮০, ট্রাক (চার চাকা) ২০০, ট্রাক (ছয় চাকা) ৩০০, কাভার্ডভ্যান ৫০০ ও অটোরিকশা ৩০ টাকা করে দিতে হবে।
সিডিএ ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরমুখী এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের দৈর্ঘ্য ১৬ দশমিক ৫ কিলোমিটার হওয়ার কথা ছিল। বর্তমানে তা ১৫ দশমিক ২ কিলোমিটার। প্রাথমিক সমীক্ষায় ২০টি র্যা ম্প (যানবাহন ওঠানামার পথ) নির্মাণ করার কথা থাকলেও করা হয়েছে ১৪টি। এর থেকে আরও পাঁচটি অপ্রয়োজনীয় র্যা ম্প বাদ দিয়েছে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে নয়টি র্যা ম্প দিয়ে যানবাহন ওঠানামা করবে। র্যা ম্পের মোট দৈর্ঘ্য ১২ কিলোমিটার নির্ধারণ করা হলেও বাস্তবে আছে মাত্র অর্ধেক। সিডিএ’র প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড এবং চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান র্যাং কিন। 
এক্সপ্রেসওয়ে চালুর কথা ছিল ২০২০ সালের জুনে। পরে তা পরিবর্তন করে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। বর্তমানে আরও এক বছর সময় বাড়িয়ে ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত করা হয়েছে। নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগেই গত বছরের ১৪ নভেম্বর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এর উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রকল্প-সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৭ সালে একনেকে প্রকল্পটি অনুমোদন হওয়ার সময় তিন হাজার ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে তিন বছরের মধ্যে কাজ শেষ করার সময় নির্ধারণ করা হয়। ২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে নির্মাণকাজের উদ্বোধন হলেও ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০২২ সালে নকশা সংশোধন করে আরও এক হাজার ৪৮ কোটি টাকা ব্যয় বাড়িয়ে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়। এরপরও কাজ শেষ না হওয়ায় সর্বশেষ প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়িয়ে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।

বাংলা স্কুপ/ প্রতিনিধি/ এনআইএন/এসকে 


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ